Memoirs
Home | Memoirs - Family | In Memory of Professor Mozibur Rahman Biswas
প্রফেসর মজিবর রহমান বিশ্বাসের স্মরণে
তাহমিনা খানম বিশ্বাস
(৫ জুলাই, 2022) - আমার স্বামী মজিবর রহমান বিশ্বাস গোপালগঞ্জের সাতাশিয়া গ্রামের বিশিষ্ট বিশ্বাস পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশবে গর্ভধারিনী মাকে হারিয়েছেন । বাবা ও দাদির তত্ত্বাবধানে উনি বড় হয়েছেন ।উনারা দুই ভাইবোন ছিলেন । বোন বড় ও উনি ছোট । বোনের নাম রিজিয়া বেগম । ওনার ডাকনাম হিরু ।মায়ের জন্য খুব আক্ষেপ করতেন. বিমাতাকে তিনি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করতেন । বিমাতাদের ছেলে মেয়েদেরকে আপন করে নিতেন । বাবার স্নেহের পরশে উনি লালিত ও পালিত । বাবাকে উনি খুব ভালো জানতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন । উনি পড়াশুনা করার সময় বাবার সহায়তা ও অনুপ্রেরণা পেতেন । যার ফলে উনি লেখাপড়া করতে পেরেছেন ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ।ওনার বাবা অথবা আমার শ্বশুর মহাশয় খুবই বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন ।
ছোটবেলায় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়া শেষ হয়ে গেলে ওনার চাচা ওনাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় ।ওনার চাচা চট্টগ্রামের রেলওয়ে অফিসে চাকরি করতেন ।ওনাকে ওনার চাচা ওখানকার একটা নামকরা স্কুল চিটাগাং মিউনিসিপালিটি স্কুলে ভর্তি করে দেন। উনি চাচার বাসায় থেকে পড়াশুনা করেন । চট্টগ্রাম থেকে উনি মেট্রিক বা এস.এস.সি. পাশ করেন । তারপর উনি ফরিদপুরে চলে আসেন । ফরিদপুরে এসে তিনি রাজেন্দ্রপুর কলেজে ভর্তি হন। উনি অঙ্কে খুব পারদর্শী ছিলেন। বিজ্ঞান পড়েছিলেন। পড়াশুনার খরচের জন্য আমার শ্বশুর মহাশয় সময়মতো টাকা পাঠাতেন ।উনিও ফাঁকে ফাঁকে টিউশুনি করে টুকিটাকি খরচের টাকা জোগাড় করতেন ।এইভাবে ওনার হাত খরচের টাকা হয়ে যেত । সময় মতো ভালোভাবে এইচ.এস.সি. পাশ করেন।
ওনার ঝোঁক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার, আমার শ্বশুরের ইচ্ছা ছিল ল বা ওকালতি পড়াবার. ওনাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করেননি । উনি বুয়েটে, তৎকালীন আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, আবেদন করেন। মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পান ।পড়াশুনার খরচের ব্যাপারে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি ।পড়াশুনার খরচ আমার শ্বশুর দিতেন। সুন্দর করে সময় মতো পাশ করেন ।পাশ করার পর নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন । এখানে কিছুদিন চাকরি করবার পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেন ।সিনিয়র লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন ।১৯৬২ এর শেষের দিকে স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আসেন মাস্টার্স করার জন্য । সময় মতো মাস্টার্স শেষ করে স্বদেশে ফিরে আসেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন ।অনুষদে সেচ ও পানি ব্যবস্হাপনা বিভাগ তৈরি করেন । বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীরা সেচ ও পানি নিযন্ত্রন ব্যবস্হাপনায় পড়তো।পাশ করার পর চাকরি পাওয়া যায় সহজে ।
১৯৬৫ সালের ২৩ সে মার্চ আমাদের বিয়ে হয়। উনি ১৯৬৮ সালে স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসেন । আমার বড়ছেলে ছোট ছিল দেখে আমি কয়েক মাস পরে গিয়েছিলাম। উনি সময় মতো পিএইচ ডি শেষ করে ১৯৭১ সালে স্বদেশে ফিরে আসেন।
স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। এর ভেতর দিয়ে বি.এড. কোর্স করি। বি.এড. পাশ করে চাকরি করার সুযোগ হয়নি। সাংসার আমাদের বড় হয়ে গেলো। ছেলে মেয়েকে দেখবে , সংসারের দায়িত্ব নেবার ভরসা করার মতো কেউ ছিল না। প্রফেসর সাহেব আমাকে চাকরি করার জন্য জোর করেননি। ওনার সুশাসন ও অনুপ্রেরণায় ও আমার সহযোগিতায় ছেলে মেয়ে মানুষ হয় ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
উনি ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রফেসর হন। উনি একজন সুশিক্ষক ছিলেন। ক্লাসে পড়াবার সময় কথা বলা বা শব্দ করতে দিতেন না। মনোযোগ সহকারে পাঠ দান শুনতে বলতেন। ক্লাস নেয়ার সময় ডিসিপ্লিনকে গুরুত্ব দিতেন। ছাত্রদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতেন।
প্রফেসর সাহেব উনার ডিপার্টমেন্টের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশের কন্ফারেন্সে যেতেন এবং অংশীদারিত্ব তৈরি করতে চেষ্টা করতেন।
ভাইস চ্যান্সেলার হতে যা যা গুন্ দরকার ওনার মধ্যে সবই ছিল। উনি ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য কখনো দল করেননি। চিন্তা করতেন যোগ্যতা অনুযায়ী ওনাকে ভাইস চ্যান্সেলর বানাবেন। কারো সাথে তোষামোদি করতেন না। নিজের যোগ্যতাকে গুরুত্ব দিতেন।
আমাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে বিধির কৃপায়, প্রফেসর সাহেবের প্রচেষ্টায় এবং আমার সহযোগিতায় সুপ্রতিষ্ঠিত।মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেছে। ও নরওয়েতে আছে; ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে। বড় ছেলে সোলার এনার্জি তে পি এইচ ডি করে অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করে। ছোট ছেলে মিডিয়া এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে পিএইচডি করে লয়োলা ইউনিভার্সিটি মেরিল্যান্ডে শিক্ষকতা করেন।
প্রফেসর সাহেবের অনেক বিদেশী বন্ধু ছিল যাদের আমার মনে পরে। ব্রুস কারি , স্ক্যালি, পালমার জন ,বট্টল, গেওর্গি ,পিটার মাই ব্যাগ। ওনারা প্রফেসর সাহেবের নিকটতম বন্ধু ছিল। সুনীল দত্ত , মাখন লাল দত্ত , গুরুদাস মন্ডল , সাত্তার মন্ডল - এদের নিয়ে কন্সালটেন্সির কাজ করতেন। উনি একজন কর্মব্যাস্ত মানুষ ছিলেন। কাজ ছাড়া কিছু বুঝতেন না।
প্রফেসর সাহেব টাঙ্গাইলে জার্মান প্রজেক্ট এর কনসালটেন্ট ছিলেন। এই জন্য তিনি টাঙ্গাইলে যাওয়া আশা করতেন। টাঙ্গাইলে সখীপুরে কন্সালটেন্সি করতেন। আমাদের বড়ছেলে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে পড়তো। ওর প্যারেন্ট ডে তে আমাদের সবাই কে নিয়ে টাঙ্গাইলে যেতেন। যাওয়ার সময় বেশ কিছু নাস্তা বানিয়ে নিয়ে যেতাম। ছেলেকে ও ছেলের বন্ধুকে যেন খাওয়াতে পারি। ছেলের সঙ্গে দেখা করে চলে আসতাম। প্রয়োজন ছাড়া থাকতাম না।
লোকজন বাসায় আসলে খুশি হতেন। গল্প করতেন। খাবার কথা ভুলে যেতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের ব্যাস্ততার মধ্যে তিনি সময় করে আমাদের নিয়ে ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যেতেন। আমি যাওয়ার সময় খাবার তৈরি করে নিয়ে যেতাম। শ্রীপুর,জয়দেবপুর , টাঙ্গাইল এসব জায়গায় আমাদের নিয়ে যেতেন । মিজাপুর ক্যাডেট কলেজে আমাদের বোরো ছেলে পড়তো। অভিভাবক দিবসে ছেলেকে আমরা দেখতে যেতাম। ছেলের জন্য বেশ কিছু খাবার তৈরি করে নিয়ে যেতাম। এই সুযোগে আমরা টাঙ্গাইল জার্মান প্রজেক্টে ( প্রজেক্ট হাউস ) থাকতাম। টাঙ্গাইলে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হতো। কোরবানির ছুটিতে ও মাঝে মধ্যে আমার শশুর জীবিত থাকতে আমাদের নিয়ে দেশের বাড়ি যেতেন। দেশের বাড়িতে কোরবানি দেয়া হতো। গ্রামের মুরব্বি ভাইদের সাথে দেখা করে সময় মতো ময়মনসিংহে আমাদের নিয়ে ফিরে আসতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শত কাজের মাঝেও উনার পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখতেন , এমনি একজন দক্ষ শিক্ষক , কর্তব্যপরায়ণ, সুশাসক লোককে আমরা হারিয়ে ফেললাম।
ডঃ মজিবর রহমান বিশ্বাস পাবলিক সার্ভিস কমিশন এর মেম্বার হন ১৯৯৭ সাল। উনি খুব নীতি মেনে চলতেন , ছাত্র ছাত্রী উনার কাছে চাকরির ব্যাপারে সুপারিশ করতে আসলে তাদের সাথে অমায়িক ব্যবহার করতেন। বলতেন , বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে দাও , উত্তীর্ণ হলে নিশ্চই চাকরি হবে। উনি আইনের বাইরে কোনো কাজ করতেন ন। উনি খুব সৎ ছিলেন।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন মেম্বার রা একবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলো বি সি এস পরীক্ষা দিতে হলে ইংলিশ এ ভালো নম্বর পেতে হবে। তখন ডঃ মজিবর রহমান হাত তুলে বলেছিলেন - আপনারা কোন পরিবেশের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। শহরের না গ্রামের । গ্রামের ছাত্ররা ইংরেজিতে কম নম্বর পেলেও অন্যান্য বিষয়ে ভালো করে, ইংলিশ এর সুযোগ সুবিধা কম পায় । তারা বি সি এস পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে না।
ডঃ মজিবর রহমান বিশ্বাস পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেম্বার হিসেবে সকল দায়িত্ব সুষ্ট ভাবে পালন করেছিলেন। একজন অধ্যাপক হিসেবে জনপ্রশাসন কে সুচারু ভাবে পরিচালনা করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন।
১৯৮৫ সালে প্রফেসর সাহেব বারিধারার প্লট বরাদ্দ পান, অবশেষে 2001 সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়কালীন প্লটটির হস্তান্তর পান বারিধারা জে- ব্লকে । বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন ২০০৩ সাল। বড় ছেলে ও মেয়ের বিয়ে ও পি এস সি এর মেম্বারশিপ শেষ হয়ে যাবার পরে। ২০০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বাড়ির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনা করা হয় । প্রথম আমরা কিছু মাটি খনন করে সেই দিন বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করি । প্রফেসর সাহেবের বন্ধু রশিদ সাহেব বাড়ির প্ল্যান যোগ নির্মার কাজ পরিচালনা করেন। প্রফেসর সাহেবের কষ্টার্জিত টাকা দিয়েই বাড়ি নির্মাণ । ব্যাঙ্ক থেকে কিছু টাকা লোন নেন। কাফরুলের বাড়ি বিক্রি করে লোন পরিশোধ করেন। বাড়ি নির্মাণ কাজে মেয়েই সহযোগিতা করেছিল , ছেলেরা ও কিছুটা সহযোগিতা দিয়েছিলো। আমাকে বলতেন , লিলি তোমাকে বাড়িটা তৈরী করে দিয়ে গেলাম। তুমি যত দিন বেঁচে থাকবে ততদিন বাড়িটা হাত ছাড়া করোনা। বাড়িটা ছেলে মেয়েদের ঠিকানা।
আমেরিকান এম্ব্যাস্সির কাছে বারিধারা পার্ক থেকে দুইটা তাল গাছ কিনে এনেছিলেন , আমি বাড়ির গেইটের সামনে ডান পাশে আর মিতুল লাগিয়েছিল বাম পাশে। এগুলো লাগানো হয়েছিল ২০০৬ সালে। গাছ দুটোর বয়স এখন ১৬ বছর। বাড়ির দক্ষিন দিকে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ করে অনেক দেবদারু গাছ লাগানো হয়েছিল , পূর্ব দিকে নীম গাছ , কদম ফুলের গাছ , লেংড়া আমের গাছ এগুলো লাগানো হয় প্রফেসর সাহেবের অনুপ্রেরণায়। ওনার কল্পনা ছিল গাছ পালা যেন বাড়িটাকে জড়িয়ে রাখে। বলতেন সবাই বাড়িটি দেখে বলবে এটি কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়ি। আমাদের ছাদে ও আমরা একটি বাগান করি। বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হয়। যেমন পেয়ারা গাছ , ডালিম গাছ, আমড়া গাছ , বাতাবি লেবুর গাছ। , কাঠ গোলাপ , চন্দ্র মল্লিকা ও অন্যান্য ফল ও ফুলের গাছ। যাতে বাগানের গাছ পালা পরিচর্যা করে আমি ব্যাস্ত থাকি ও অবসর জীবন টা কাটাতে পারি। ওনার মধ্যে অনেক অনুভূতি ও চিন্তা শক্তি ছিল। বাড়িটাকে আদর ও ভালোবাসার ছোয়ায় নাম দিয়েছিলো লিলি কুঞ্জ।
মৃত্যুর আগের দিন রবিবার দুপুরে বোরহান আসে ৩ টার দিকে - উনি গল্প করেন। আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন ঘুম আমার সাধারণত দুপুরে হয় না। রাত ৮ টা র সময় আমরা দুজনে একসাথে ভাত খাচ্ছিলাম। খাওয়া শেষে উঠে হাত ধুয়ে নিজের হাতে গেইটের দরজা , বাথরুম এর দরজা ,ঘরের ভিতরের দরজা দিয়ে আবার চেক করলেন দরজা দিয়েছেন কিনা। আমাকে বললেন - লিলি, বুয়ার খাওয়া হয়ে গেলে রান্নাঘরের দরজা টা দিয়ে দিও। রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় একবার দেখলম্ উনি ঘুমিয়েছেন কিনা , দেখলাম ঘুমাননি , জেগে । 2020 সালের ৬ জুলাই সোমবার সকালে সামান্য চা বিস্কুট আর দুটো কলা নিজের হাতে ছিড়ে খেয়েছিলেন। কারো সহায়তা চাননি। আমরা ব্যাংকে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিলাম । ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ব্যাংকের কাগজ ঠিক ভাবে নিচ্ছেন কিনা , উনি কোনো উত্তর দিলেন না। চুপচাপ উঠে ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে রুমে চলে গেলেন , বললেন - আমি এখন ঘুমাবো। এই বলেই শুয়ে পড়লেন। দুই নিশ্বাস ফেলার পর আরেকটা নিশ্বাস ফেলতে পারলেন না। সবাই এসে পালস দেখছে - পাচ্ছে না - শহীদ বললো হসপিটালে নিয়ে হার্ট পাম্প করলে ঠিক হয়ে যাবে। অ্যাম্বুলেন্স আসলো। ওনাকে এপোলোতে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাদের ভাতিজা বোরহান ও গেল। কিছুক্ষন পর বোরহান বললো কাকা অনেক আগেই মারা গেছেন। আমার পাশে বুয়া ছাড়া কেউ নেই। বোরহান আমাকে গাড়িতে তুলে দিলো। আমি যে কিভাবে বাসায় এলাম বলতে পারি ন। বোরহান ওনার শেষ বিদায়ের ব্যবস্থা করে। বারিধারার বাসা খালি হয়ে গেলো। সব ফেলে চলে গেলেন।
আগামীকাল ৬ জুলাই 2022 , ওনার মৃত্যুর দুই বছর। দিন যায় কথা থাকে..........
PDF version
